পোস্টগুলি

মে, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

Helo করোনা

ছবি
 আমি আর তুমি আর  আছে শুধু ফোন আর  ফেসবুক হল সঙ্গী।  যত ভাবি দুরে যাব ফোন থেকে দুরে রব  জড়িয়ে পড়েছি তত কাঁঠালের আঠার মত। টিভি এখন পুরোনো হয়েছে আড্ডা হয়েছে ব্যাকডেট মোবাইল এখন হাতের মুঠোয় আমরা হয়েছি আপডেট। সবাই এখন সবজান্তা সবাই এখন ব্যাস্ত  জীবন টা তো অনলাইন ভাই অফলাইন হল সেকেলে। শিক্ষা এখন অনলাইনে স্কুল হয়েছে বন্ধ  বাচ্চাগুলো করেনা এখন   কলরব আর দ্বন্দ্ব। করোনা এসে সঙ্গ নিল দিল চরম শিক্ষা সারা জীবন সঙ্গী হল  পেলাম নতুন দীক্ষা।

আজব শখ👴

ছবি
  আজব শখ👴 দাদু -   সব নাতি নাতনিরে খবর দাও,আমি আবার ছাদনাতলা যাব।🙄 দিদা- তোমার ভিমরতি হয়েছে নাকি? দাদু- কেন?  ভিমরতি  হইবো কেন্। বিদেশে 94 বছর বয়সেও বিয়ে হচ্ছে। আমি করলেই ভিমরতি?😎😎 দিদা- আমাকে বৃন্দাবন পাঠানোর ব্যাবস্থা কর। আমি বৃন্দাবন যাব। দাদু- আমার কথাই শেষ কথা,বিয়ে আমি করবই। দিদা- পাত্রী কে শুনি? দাদু- তোমারে বলবো কেন্? আমি-   ওহ্ তোমরা চুপ করবে ,  প্লিজ 👿 কিছুক্ষণ পর দাদু-  কই গো -----চা দেবে না----। দিদা-   দিচ্ছি  দিচ্ছি  এই বুড়ো বয়সে আমি ছাড়া তোমার সেবা করবে কে শুনি? দাদু- (চা খেতে খেতে) গিন্নি-------বাজার দর একটু খতিয়ে দেখছিলাম আর কি। দিদা-  তোমার বাজার দর তলানিতে ঠেকেছে, বুঝলে।👵 দাদু-চলো--- দিদা-  কোথায়? দাদু-  ছাদনাতলা(হাহাহা)👴👵 👴 সোমা গাঙ্গুলী

পাশে আছি

ছবি
  পাশে আছি 😇🥀 আমি ঋষা,কলেজে পড়াই।অনলাইন সাইটে বিয়ের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছি।প্রাই প্রতিদিনই পাত্রপক্ষ আমাদের বাড়িতে পাত্রী দেখতে আসে। প্রাথমিক আলাপ চারিতা পর্ব শেষ হলে,ইতিউতি  কথার পর সকল পাত্রপক্ষই এক ই কথা বলে, "মেয়ের রং কালো"। ছোট বেলা থেকেই শুনে আসছি,আমার রং কালো,আমার কি করে বিয়ে হবে।ইত্যাদি ইত্যাদি।পড়শি কাকিমাদের বলতে শুনেছি"খুব গুণের মেয়ে,মুখখানা ভারিমিস্টি ", শুধু গায়ের রঙ  টাই যা কালো"।🙄 আমার কিন্তু আমার রঙ নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। আমার বিয়ে হল আর না হল তাতে আমার কিচ্ছু যাই আসে না।আমি আমাকে নিয়ে খুব খুশি। 🥰 যাইহোক কোনও এক বৈশাখী  সন্ধ্যায় আমার বিয়ের ঠিক হল।পাত্রপক্ষ দেখে,শুনে আমায় পছন্দ করেছে। বিয়ের পর দিন শ্বশুরবাড়ি এলাম। শাশুড়িমা সকলের সঙ্গে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। তারই মধ্যে  একজন কাকিমা অন্য এক ভদ্রমহিলা কে বলছেন "নতুন বৌমার রঙ কালো---- শেষ পর্যন্ত কালো বউ বিয়ে করে আনলে " ।তাদের কথাবার্তা আমাকে নতুন করে কোনও আঘাত করেনি।এসব কথা শুনে তো আমি অভ্যস্ত ছিলাম। 😇 আমার স্বামী,যার সঙ্গে আমার তখন ভালোকরে আলাপ  ও হয়নি,উনি হঠাৎ ...

রোজগেরে বৌমা💁‍♀️

ছবি
আমি অনেক স্বপ্ন 🥰 নিয়ে আমার শ্বশুরবাড়ি এসেছিলাম। বিয়ের কয়েক মাস পরেই  আমি একটি স্কুলে চাকরির  দরখাস্ত  করি। চাকরি  করব এটা  আমার বরাবরের একটা স্বপ্ন ছিল। বিয়ের আগে পূর্ণ হয় নি,  তাই  শ্বশুরবাড়ি এসে চাকরির চেষ্টা করি। চাকরির কথা শুনেই আমার শাশুড়ি মা এককথায় নাকচ করে দেয়, "ঘরের বউ চাকরি করলে চলে, সংসারের কাজ কে সামলাবে? চাকরি করতে হবে না " ইত্যাদি নানান কথা! 😔 আমি  তো হতবাক হয়ে গেলাম। মনের কষ্ট মনেই চেপে  রেখে  দিলাম। রাতের বেলা রোজ বিছানায় শুয়ে কাঁদতাম😪। স্বামী কে মনের কথা বলতাম কিন্তু "অপ্রয়োজনীয়  কথা" বলে উনি বিশেষ পাত্তা  দিতেন না। বাচ্চা যখন  ছোট ছিল তখন বাচ্চার দেখভালের অজুহাত দেখিয়ে আমাকে চাকরি করার কোন সুযোগ দেওয়া হয় নি। মেয়ে যখন বড় হলো, তখন আমি ঘরেই  টিউশন করতে  শুরু করি📚📖। টিউশন করার জন্য অবশ্য শাশুড়ি-মার কোন  আপত্তি  ছিল না। উনি বরং খুশি-ই হতেন। নিজে বিশেষ  লেখাপড়া জানতেন না বলে আফসোস করতেন। তাই আমি ওনাকে  লিখতে, বই  পড়তে শিখিয়ে দেব এই আশ্বাস দি। দুপুর বেলায় স...

উরো চিঠি 💌

ছবি
আজ আলমারি পরিস্কার  করতে গিয়ে একটা পুরোনো চিঠি পেলাম, মায়ের লেখা।খাম, পোস্টকার্ড এগুলো তো এখন দেখা যায় না,তাই হঠাৎ করে পেয়ে মনটা আনন্দে  ভরে উঠল। কেমন যেন নস্টালজিক হয়ে পড়লাম। কত পুরোনো স্মৃতি...কত কথা মনে পড়ল! চিঠিটা আমি বেশ কয়েকবার পড়লাম, হাতবোলাতে বোলাতে মায়ের সুবাস পেলাম, হাতের ছোঁয়া পেলাম। আমি খুব যত্ন  করে চিঠিটা তুলে রেখেছি।  বিয়ের পর এই চিঠি ই তো মা কে আমার কাছ থেকে দুরে সরায় নি, বরং চিঠির মাধ্যমেই আমি মার আরও কাছে এসেছি। সুখ দুঃখের কথা ,মনের কথা অনায়াসে আমি ভাগ করে নিয়েছি। ই-মেল,হোটাসঅ্যাপ, ইন্টারনেটের যুগে বিজয়ার  প্রণাম, বিজয়ার শুভেচ্ছা আমিও মাকে পাঠায়। তাতে মনের  খোরাক মেটে না। দুধের সাধ ঘোলে মেটাই এই যা। খাম ,পোস্টকার্ড মারফত  চিঠিপত্রে মনের ভাব প্রকাশ হলে দুটো মনের দুরত্ব কমে মনের শান্তি আসে...মন রিল্যাক্সড হয়! মা কে ফোন করে বললাম , " তোমার হাতের লেখা চিঠির  সুবাস পেতে তুমি আবার  চিঠি লেখ "। লুপ্তপ্রায় চিঠি-শিল্প  কে বাঁচিয়ে রাখো!

গ্রীষ্মের ছুটি

ছবি
 গ্রীষ্মের ছুটি স্কুলের গরমের ছুটি পড়তো  মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। গরম পড়লেই আমরা স্কুলের ছুটির অপেক্ষায় থাকতাম কারণ একটাই,মামাবাড়ি যাওয়া!!!! গরমের ছুটিতে মামাবাড়ি যাওয়ার মজাই আলাদা।যেই না স্কুল ছুটি হল আমরা মামাবাড়ি  চলে আসতাম।খুব মজা হত।লেখাপড়ার ঝামেলা নেই, শুধু টি ভি তে কার্টুন দেখো ,সারাদিন টো টো করে ঘুরে বেড়াও কেউ কিছুটি বলবে না। মামাতো  মাসতুতো ভাই বোন মিলিয়ে চারজন একসাথে জুটি বাঁধতাম ।যখন ছোট ছিলাম তখন দিদার রান্নাঘর থেকে নুন হলুদ নিয়ে খেলনাবাটি খেলতাম।দুপুর বেলা সবাই যখন বিশ্রাম নিত আমরা ভাই বোনেরা মিলে বয়াম থেকে লুকিয়ে আচার বার করে খেতাম। বাগানের পেয়ারা গাছে চেপে বসে থাকতাম। আম গাছে একটি আম ও পাকার জন্য রাখতাম না ।আম পেড়ে সেগুলো হামাম দস্তা তে ছেঁচে আগে থেকে চুরি করে রাখা নুন লঙকা মেখে ভাগ করে খেতাম। কতবার ধরা পড়ে বকুনিও খেয়েছি।কাঁচা আম ছেঁচকি খেয়ে পেটে ব্যথা হলে মামাদের আদরমাখা বকুনিও খেয়েছি। একটু বিকেল হলেই আইসক্রিম ওয়ালার টুং  টুং শব্দে ছুটে গিয়ে কাঠি দেওয়া চুড়া আইসক্রিম, মালাই আইসক্রিম  খেয়েছি। সবাই মিলে হই হই করে গরমের ছু...

চৈএ সেল

ছবি
  ব্যাগ ভর্তি চৈত্র সেল বাজার করে সবে বাড়ি ফিরেছি। বাজারে ফ্রির ঠেলায় এক  পা ও চলা দায়।🚶এতভিড় যে মনে হচ্ছে সব কিছুই ফ্রি। গিন্নি তো চৈএ সেলে পুজোর শাড়িও কিনেফেলেছে।🥰 সেল,সেল,সেল একটি শাড়ির সঙ্গে আর একটি শাড়ি ফ্রি গলির  রাস্তায়  টোটা করে মাইকিং চলছে। সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। গিন্নি পাশের বাড়ির বৌদির সঙ্গে দুপুর বেলা চৈত্র সেলের বাজারে গেছে।  আজ ওর সেলের দ্বিতীয় দিনের বাজার🙄 ঘরের কাপ ডিস থেকে আরম্ভ করে গামছা সবেতেই নাকি সেল চলছে।😳 সেলের ঠেলায় ঠেলাঠেলি  করতে গিয়ে কখন যে ফোন টা পড়ে গেছে তা কারোরই খেয়াল নেই।😔 ঘরে এসে ফেসবুক গসিপ করতে গিয়ে ফোনের খোঁজ পড়েছে। বাজারে ভিড়ে প্রাণ যাই যাক,তবুও ফোন যেন না যাই। 📱 ভাগ্যিস  বৌদি  ফোন টা দেখতে পেয়ে কুড়িয়ে রেখেছিল। ফোন না পেলে চৈএ সেলের আনন্দটা যে পুরোটাই  মাটি হত।😍ওহ্  চৈত্র সেলের কি বাজার, পুজোর বাজারের থেকেও বেশি ভিড়।🥳🥳🥳🥳 *বছর বছর  ঘুরে আসুক  চৈত্র ভরা সেল। নববর্ষ ভালো কাটুক এটাই করি মেল*❤❤❤❤❤                     ...

হলুদ রঙের শাড়ি

ছবি
  হলুদ রঙের শাড়ি তখন আমি অষ্টাদশী,তখন আমি শাড়ি।হ্যাঁ,অষ্টাদশী এক তরুণীর কাছে শাড়ি পরাটা বসন্তের একঝলক হাওয়া,কেমন সব কিছুই যেন ফুরফুরে,সদ্য ফোটা কুঁড়ির মত।  কলেজে ফার্স্ট ইয়ার এ পড়ি। সরস্বতী পুজোর দিনে বন্ধুদের সাথে ঠাকুর দেখতে বেরিযেছি।হলুদ রঙের শাড়ি,ছোট্ট টিপ,ও হালকা লিপস্টিক।আয়নায় নিজের রুপ দেখে নিজেই মুগ্ধ হয়ে গেছি "কি সুন্দর লাগছে আমায়!" পাড়ার অন্য একটি পুজো মণ্ডপে গেছি।সেখানে জমিয়ে আড্ডা চলছে।হঠাৎই আমার চোখ গেল একটি সুঠাম চেহারার যুবকের ওপর।নিজেকে কোনোমতে সামলে আড়চোখে দেখলাম ছেলেটি হলুদ রঙের পাঞ্জাবি ও সাদা রঙের পাজামা পরে বন্ধুদের সাথে গল্প করছে।প্রথম দেখাতেই ওকে আমার ভাল লাগল। দুজন দুজনের চোখাচোখি হতেই কেমন যেন শিহরণ জাগানো ভাললাগা শুরু হল। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ও এই পাড়াতে নতুন এসেছে।  তারপর অনেকবারই পাড়াতে, খেলার মাঠে ওর সাথে দেখা  হয়েছে, ধীরে ধীরে আলাপ, আর তারপর ভালোবাসা। একদিন ও আমায় ডেকে বললো, "তোমাকে সরস্বতী পুজোর দিনে হলুদ রাঙা  শাড়ী পরে বেশ লাগছিলো "। আমি তো তখন খুশিতে হাবুডুবু খাচ্ছি। ইতস্তত হয়ে বললাম সেদিন তোমাকে ও খুব ভালো লাগ...

খেজুর রস

ছবি
শীতের ঠান্ডায় খেজুর রসের মজাই আলাদা।দারুন স্বাদ। খেজুরের পাতলা রস ফুটিয়ে ফুটিয়ে গাঢ় হয়ে এলে খেজুর গুড়  হয়। ছোট বেলায় দেখেছি শিউলির দল কিভাবে গাছে চেপে মাটির হাঁড়ি খেজুর গাছে বেঁধে আসে ।প্রথমে গাছের আগা কিছুটা অংশ চেঁছে ছুলে নেয়।তারপর সেখানে  হাঁড়ির মুখে দড়ি দিয়ে বেঁধে গাছে ঝোলানো হয়।সারা রাত ধরে খেজুর গাছের রস ওই হাঁড়িতে জমা হয়।ভোর বেলা শিউলিরা সেই হাঁড়ি সংগ্রহ করে আনে। খেজুর রস নিয়ে একটা ঘটনা মনে পড়ছে। একবার পাড়ার ছেলেরা খেজুর  রসের হাঁড়ি পেড়ে খাবে,তাই ভোর বেলা সবাই জড়ো হয়েছে।  গাছে চেপে কয়েকটা খেজুর রস ভর্তি হাঁড়ি পেড়ে পেটভরে রস খাবার পর আবার হাঁড়িগুলো গাছে টাঙিয়ে রেখেছে।খেজুর গাছে চাপা সহজ নয়,ওদের মত বিছছু ছেলেদের পক্ষেই সম্ভব । যাইহোক এভাবে বেশ কদিন ওরা খেজুর রস চুরি করে খেয়েছে।শিউলির দল চোর ধরতে পারছিল না ,আবার ওদের গুড়ের  ব্যাবসাতেও  ক্ষতি হচ্ছিল। কিছুদিন পর আবার রস খাবার জন্য ছেলেরা জড়ো হয়েছে।যথারীতি গাছে চেপে হাঁড়ি নামিয়েছে, রস খেতে গিয়ে দেখে এটাতো খেজুর রস নয়।এখানে তো হাঁড়ি ভর্তি জল রয়েছে।ছি ছি করতে করতে যে য...
ছবি
                    Evargreen   বোরোলিন বোরোলিন এমনই এক ক্রিম যা আমাদের রোজকার জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে।কাটা ছড়া তো আছেই প্রসাধনি হিসেবেও ব্যাবহার হয়। ছোট বেলায় ঠাকুমা কে দেখেছি,তারপর মাকে দেখেছি এখন আমি নিজেও বোরোলিন ব্যাবহার করি।ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাত্রে শুতে যাওয়া পর্যন্ত বোরোলিন আমার কাছেই থাকে।বিছানায় বালিশের পাশে,রান্নাঘরের তাকে,ভ্যানিটি ব্যাগে,পড়ার টেবিলে ড্রেসিং টেবিলে কোথায় নেই!!! আমার ঘরের সর্বত্র  বোরোলিন বিরাজমান । বঙ্গ জীবনের অঙ্গ চিরসবুজ চিরকালিন বোরোলিন  সত্যি সত্যিই এভারগির্ন।গন্ধে বর্ণে ওর জুড়ি মেলা ভার। কত জিনিস বাজারে আসে যাই,কিন্তু  বোরোলিন সেই আদি অনন্ত কাল ধরে প্রতিটি ঘরে ঘরে আছে ও থাকবে ।এর কোনও বিকল্প  নেই। লাভ ইউ বোরোলিন ।

আহ্! আম-রস!!!

ছবি
  আহ্!  আম-রস!!! গরমের সময় আম রস একটা দুর্দান্ত পানিয়।খেতে সুস্বাদু আর উপকার তো আছেই। তাই গরমের সময় এই রেসিপি ট্রাই করা যেতেই পারে। গরম কালে আম খেয়ে একঘেয়ামো লাগলে এভাবে আম রস বানান।সত্যিই অসাধারণ।  বেশ ভালমত পাকা আম গুলোকে  ভালো করে জল দিয়ে পরিস্কার করার পর খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে অল্প জল মিশিয়ে মিক্সিতে ঘুরিয়ে রস বার করতে হবে। এবার  এক এক করে বিট লবন,গোলমরিচের  গুড়ো, আমচুর পাউডার, চিনি পরিমাণ মত দিয়ে রসের সাথে মেশান।পুদিনা পাতা থেতো করে রাখুন। পুরো মিশ্রণটিকে ভালো করে মিশিয়ে থেতো করা পুদিনা পাতা ,বরফ মিশিয়ে দিন। আমরস খাবার জন্য তৈরি । সুন্দর কাঁচের গ্লাসে প্রিয়জনদের  পরিবেশন করুন। পুদিনা পাতার গন্ধ আম রসে মিশে একটা নতুন স্বাদ  আনবে।দেখবেন সকলে আবার  চাইবে। আপনি খেয়েও খুশি খাইয়েও খুশি ।                   সোমা গাঙ্গুলী

বৃষ্টির দিনে (তুমি আর আমি)

ছবি
 একটু আগেই বৃষ্টি বন্ধ হয়েছে।ঘরের বাইরে সুন্দর ঠান্ডা হাওয়া বইছে।মনে বেশ খুশি খুশি ভাব।সোঁদা মাটির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।  বাড়ির কাচের জানালা দিয়ে বৃষ্টির জল গড়িয়ে পড়ছে।এরকম ঠান্ডার দিনে গরম গরম বেগুনি ফুলুরি ভাজাভুজি খেতে পেলে তো মেজাজ বেশ ফুরফুরে লাগবেই ।😍😍 গরম চা সঙ্গে বেগুনি নিয়ে ব্যালকনিতে বসে আছি,🍻 সুন্দর বেলি ফুলের গন্ধ  হাওয়ায়  ভেসে এল ।বেলি ফুলের মিষ্টি গন্ধে চারদিকে ম ম করছে।🌾🌸 একটা সুন্দর রোমান্টিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে।💑 এ রকম  মায়াবী  রাতে প্রিয়জন যদি একগুচ্ছ ফুল  উপহার দেয় তাহলে তো আর কথাই নেই। এই মায়াবী রাত আরও বেশী রোমান্টিক হয়ে উঠবে ,চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।🎎 বৃষ্টির রিমঝিম, সঙ্গে ফুলের তোড়া আর অবশ্যই গরম গরম বেগুনি,ফুলুরি উফ্ যাস্ট  ভাবা যায় না। জীবনের এই রঙিন মুহূর্ত গুলো আরও রঙিন হয়ে উঠবে।  ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত  বসন্তের একঝলক রঙিন মুহূর্ত জীবনের অনেক কিছুই পাল্টে দেয়।ছোট ছোট মুহূর্ত গুলো আমাদের নতুন করে বাঁচতে শেখায়।🥰🥰🥰 রিমঝিম বৃষ্টির মাদকতায়  প্রিয় মানুষের সঙ্গে কখন যে সময় পেরিয...

gurudev

শুভ জন্মদিন  আজ পূর্ণিমার রাত। সামনের মন্দিরে পুজো হচ্ছে। কাঁসর ঘন্টার আওয়াজ দুর থেকে শোনা যাচ্ছে।  মন্দিরে গিয়ে দেখি ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দল পাতা পেড়ে খেতে বসেছে।তাদের আজ খুব আনন্দ। লুচি পায়েস পোলাও মিষ্টি আরও অনেক কিছুই খাচ্ছে।  পুরোহিতের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম,কোনও এক সাহেব এই খাবারের আয়োজন করেছেন।  মন্দিরের অন্য প্রান্তে দুঃস্থ মানুষদের কম্বল বিতরণ করা  হচ্ছে। এক বৃদ্ধা দুহাত দিয়ে আশীর্বাদ করছেন। তাদের আজ বড় আনন্দের দিন। প্রতি বছর তারা এই দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন।  ওই ভিড়ের মাঝেই এক ভদ্রলোক এগিয়ে এসে পুরোহিত মশাই কে বললেন*দেখবেন কেউ যেন  অভুক্ত না থাকে।আমার মায়ের নির্দেশ* মন্দির প্রাঙ্গণ  তখন পূর্ণিমার আলোয় ঝলমল করছে।পুরোহিত ভদ্রলোককে আশ্বস্ত করে বললেনমায়ের সু সন্তান তুমি ,তোমার মায়ের আদেশ মতই কেউ এখান থেকে অভুক্ত হয়ে যাবে না। বিজয়ী ভব।পূর্ণিমার আলোয় আলোকিত মন্দিরে তখন গানের সুর শোনা যাচ্ছে।*চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে, উছলে পড়ে আলো ও রজনীগন্ধা তোমার গন্ধ সুধা ঢালো*                 ...

মা

ছবি
  মা, তোমার মত এত আদর কেউ তো করে না! এত সুখ এত শান্তি কোথাও পাই না। তোমার হাতের ছোঁয়া পেলে ঘুম আসে মা চোখের কোলে হাত বুলিয়ে চুমু খেয়ে আদর করে নিলে ডেকে। কোন যাদুতে জুড়িয়ে দিলে সকল ব্যাথাখানি!! প্রাণ জুড়ালো,মন জুড়ালো তোমায় দেখে মা!!!! সবার প্রিয় তুমি মা গো তুমি আমার  মা!!!!! শুভ  মাতৃ দিবস ♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️♥️
ছবি
  আমি গান শুনতে খুব ভালোবাসি সব ধরনের গান আমি শুনি... " সংগীত ...দুটো আত্মার মধ্যেকার দূরত্ব কে পূরণ করে " আমি সময় পেলেই ভালো গান শুনি ,ভালো লাগে. আমাদের রোজকার জীবনে খুশি, আনন্দ ,ব্যথা,বেদনা ,এই ছোট ছোট অনুভূতিগুলো যখন তখন চলে আসে ,দেখবে কোনো কারণ ছাড়াই আমরা মন খারাপ করি,তখন কিছুই ভালো লাগে না,মুড অফ থাকে,সেই সময় তুমি যদি ভালো গান শোনো দেখবে সব কেমন ভালো লাগতে শুরু করে ,মনটা খুশিতে ভোরে ওঠে .তাই আমি বলি কি...নিজের জন্য সময় বের করে নিজেকে সময় দাও.নিজেকে ভালো রাখাটা তোমার দায়িত্ব. আমরা মেয়েরা সকাল থেকে কেবল পরিবারের কথা চিন্তা করি,তারা কি খাবে,তাদের কিসে ভালো হবে...তুমি কি খাবে?... তোমার কিসে ভালো লাগবে ,সে চিন্তা করো কি? আমাদের মা কাকিমাদের দেখেছি ,তারা পরিবারের চিন্তা করে নিজেদের সমস্ত ইচ্ছা কে মনের ভেতর চেপে রাখতো. কিন্তু আমরা তা করবো না.আমরা নিজেদের মতো করে বাঁচবো.নিজেদের যা ভালো লাগে,যাতে আমরা খুশি পাবো,সেটাই করবো. সেটা যাই হোক,আলমারি থেকে নতুন কাপড় বের করে ইচ্ছেমতো ঘুরে আসায় হোক বা বন্ধুদের সাথে হোয়াটস্যাপ চ্যাট হোক কিংবা গান শোনাই হোক... নিজেদের জায়গা নিজেকেই খুঁজে বের...

রসগোল্লা

ছবি
    রসগোল্লা নাম শুনলেই জিভে জল এসে যাই। পাতলা রসের গরম রসগোল্লার  স্বাদ  অনেকক্ষন মুখে লেগে থাকে।🥰 বাঙ্গালির পরিবারে রুটি,লুচি পরোটার সাথে রসগোল্লা বা পান্তুয়া থাকবে না তা হয় না। কলকাতার রসগোল্লা হলে তো আর কথাই নেই👌উফ্!!! নরম তুলতুলে  স্পঞ্জ  রসগোল্লা । আহা! তার কি স্বাদ।😛 মুখে ভরে আলতো করে চাপ, তারপর ওহ্ কাকা!! যেন স্বর্গের অনুভূতি।😘 বিভিন্ন জায়গা বেড়াতে গিয়ে নতুন নতুন মিষ্টি খেয়েছি।কিছু কিছু মিষ্টির স্বাদ খুব ভালই কিন্তু কলকাতার মিষ্টির স্বাদের সঙ্গে কোনও তুলনায় হয় না। ছানা চিনি দুধ দিয়ে তৈরি এই মিষ্টি অনেক আগে মাটির ভাঁড় করে আনা হত। বাড়ির নিত্য পুজোর ভোগ থেকে শুরু করে যে কোনও অনুষ্ঠানে রসগোল্লা আসবেই।তখন একান্তবর্তী পরিবারে একটির বেশি মিষ্টি ভাগ পাওয়া যেত না।  মিষ্টির হাঁড়ি কোথায় রাখা হচ্ছে হাপুস নয়নে নজর রাখা হতো। সুযোগ বুঝে টপাটপ  মুখে তোলা।  চুরি করে মিষ্টি খাওয়ার মজাই আলাদা। ছোটবেলায় অনুষ্ঠানের জন্য তুলে রাখা  রসগোল্লা চুরি করে খাওয়া এবং খেতে গিয়ে গলায় আটকে যাওয়ার ঘটনা এখনও অনেকেরই স্মৃতিতে জড়িয়ে আছে।🤗 ...