রানুর বিয়ে
ছিমছাম চেহারার হাসিমুখ মেয়েটির বিয়ে।ঘরে এখন সাজো সাজো রব।বাড়ির বড়রা সবাই ব্যস্ত। আত্মীয় অতিথিদের কোথায় রাখা হবে,খাবারের মেনু কি হবে এই নিয়ে আলাপ আলোচনার শেষ নেই।রানুর মা ও রানুর বিয়ের গয়নাগাটি শাড়ি কাপড় কেনা নিয়ে ব্যস্ত।
ওদিকে রানুর মুখে হাসি নেই।
ওর একটাই চিন্তা নতুন পরিবেশে নতুন জায়গাতে ও মানিয়ে নিতে পারবে তো?ছেলের বাড়ির সকলেই খুব ভালো মানুষ ,আর রানুর বর!!! সে তো রানুকে পছন্দ করে ,ভালোবাসে ।তবুও রানুর মনে একটা খটকা লেগেই থাকে।
ঘোষ পরিবারের বড় মেয়ে বানি বিয়ের পর থেকেই বাপের বাড়িতে থাকে।বড় আদুরে মেয়ে,একটু মেজাজি।বড্ড রাগি।শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি।স্বামীর সঙ্গে থাকতে নারাজ তাই এখানে থাকে।রানুর বিয়ের ঠিক হবার পর বানি বলেছিল বুঝলি বোন* মতের মিল না হলে শ্বশুরবাড়িতে না থাকাই ভাল *।
মা বলে ,নতুন পরিবেশে নতুন মানুষজনদের চিনতে জানতে কিছু সময় লাগে।ভালোবাসা পেতে গেলে ভালোবাসতে জানতে হয়।আমিও তো এক বাড়ি থেকে এসে এ বাড়িকে আপন করে নিয়েছি।হ্যাঁ, কিছু সময় লাগে নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে ।তারপর ধীরে ধীরে সব নিজের হয়ে যায়।
রানুদের বাড়িতে আজ ঘরভর্তি লোক, হবু শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে বেশ জমিয়ে রানু গল্প করছে।শাশুড়ি-মা রানুকে ডেকে বললেন , তুমি তো আমার মেয়ে ,তুমি এক মায়ের বাড়ি থেকে আর এক মায়ের বাড়ি যাবে।তুমি চিন্তা করোনা। আমরা সবাই তোমার আপনজন।
রানু বুঝতে পারলো ভালোবাসা দিয়ে সব কিছু পাওয়া যায়।
চারিদিক তখন সানাই শোনা যাচ্ছে। পুরো বাড়ি আলোর রোশনাই সেজে উঠেছে।আজ যে রানুর বিয়ে!!!!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন