পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মহালয়া

মহালয়া  মহালয়া বলতেই চোখের সামনে রেডিওর কথা পড়ে।আর মনে পড়ে সন্ধ্যে থেকেই ফটকার দুমদাম আওয়াজ এবং অবশ্যই মহালয়ার রাতে রেডিও বিছানার পাশে রেখে নিশ্চিন্ত ঘুমোতে যাওয়া। মহালয়ার পুণ্য তিথিতে কাকভোরে উঠে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহিষাসুরমর্দিনি শুনতে শুনতেই আবার ঘুমিয়ে পড়া।  সকাল বেলা  উঠোনময় ছড়িয়ে থাকা শিউলি ফুল কুড়ানো।কাশ্ বনে ছুটে গিয়ে কাশ্ ফুলের রেণু ছড়ানো। বাঙালির কাছে মহালয়া মানেই রেডিওতে চণ্ডীপাঠ শোনা ; তারপরে টি ভি তে  মহালয়া দেখা।   সকালে গঙ্গার  ঘাটে ঘাটে তর্পন,  পূর্ব পুরুষদের  স্মৃতির উদ্দেশ্যে জলদান এগুলোর মধ্য দিয়েই পিতৃপক্ষের শেষ  ও দেবী পক্ষ শুরু । বছরভর অপেক্ষার পর মহালয়ার দিন  থেকেই  দেবী পক্ষের সুচনা আর তারপরেই মা দুর্গার পুজো শুরু হয়ে যায়। মহালয়া থেকেই আপামর বাঙালি আবেগের জোয়ারে ভাসতে থাকে। সোমা গাঙুলী

work from home!

ছবি
 কিরে- কবে এ বাড়িতে আসবি?কবে যে আসতে পারবো জানিনা।ঘর এখন অফিস হয়ে গেছে !! -অফিস গেলে তো হাঁফ ছেড়ে বাঁচি । ঘরে থাকলেই তো খিচখিচ ঝিকঝিক । একে তো একটা পুরো ঘর দখল করে বসে থাকে; কেউ সে ঘরে ঢুকতে পারবে না।হয় মিটিং নয়তো ফোনে কথা হচ্ছে।  -ওয়ার্ক ফর্ম হোম যেদিন থেকে শুরু হয়েছে সেদিন থেকে এ সি বিল মাত্রা ছাড়া বেড়েছে। ঘরের ফ্যান ,লাইট ,এসি বদ্ধ হবার নাম নেই। মাসের শেষে তাই ইলেকট্রিক বিলও দ্বিগুন আসছে। জোরে কথা বলার জো নেই, টি ভি মিউট করে দেখতে হচ্ছে। ঘরে কোনও লোক আসলেই চিন্তা;ফিসফিস করে কথা বলতে হয়। পোষা কুকুর টা কেবলই দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকে; তাকে নিয়েও এক বিড়ম্বনা।  সারাদিন ল্যাপটপ আর মাঝেমধ্যেই গরম চায়ের ফরমাইস, কোথাও যে ঘুরে আসবো তার উপায় নেই।  কোম্পানির তো ভালোই হয়েছে ;।বাড়ি থেকে কাজের ব্যাবস্থা করে দিয়েছে। আমাদের হয়েছে যত্তসব ঝামেলা। পুরোপুরি অফিস খুলে গেলে আমরা একটু প্রাণ খুলে বাঁচি আরকি। সোমা গাঙ্গুলী